শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
বানারীপাড়া প্রতিনিধি ॥বানারীপাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় পিতার মৃত্যুর পর একমাত্র প্রতিবন্ধী ছেলের কাঁধে ৬ সদস্যের সংসার। উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামের মৃত সুলতান হোসেনের একমাত্র ছেলে জন্মগত ভাবে ডান হাত অচল মো. আলম (২০)। ছোট বেলা থেকে তাদের সংসারের অভাব অনটনের যাতাকলে পড়ে তেমন লেখা পড়াও করা হয়নি তার। পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডে ছোট্ট একটি চায়ের দোকেন বাবাকে সহযোগীতা করতো সে। এছাড়া কেউ অন্য কোন কাজে তাকে নিতো না প্রতিবন্ধী বলে। এই চায়ের দোকান থেকে কোনমতে ৭ সদস্যের সংসার চালাতো পিতা-পুত্র। দিনরাত পরিশ্রম করতো সংসারের অন্য সদস্যদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য। সেই হাসি ফুটানোর শেষ সম্বলটুকোও আজ আর চালাতে পাড়ছে না প্রতিবন্ধী অসহায় আলম। গত ২৮ অক্টোবর তার জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। ওই তারিখে ঢাকা-সিলেট মহা-সড়কের সিলেট জেলার ওসমানী নগর থানাধীণ বুরুঙ্গা সড়কের মুখ নামক স্থানে রাত আড়াইটার সময় এ্যানা পরিবহনের ঢাকা মেট্রা ব-১৪ ৭৪ ৫২ বাস গাড়িতে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটায় তার পিতা মো. সুলতান হোসেন ও বোন জামাতা মাসুম সরদার ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। বর্তমানে আলমের কাঁধের উপরে বৃদ্ধ দাদী,বিধবা মা,বিধবা বোন,বোনের শিশু পুত্র ও বিবাহ যোগ্য বোন রয়েছে। যে কারনে দু’চোখে কেবলই অন্ধকার দেখছে আলম। এখন অসহায় আলম সংসার চালানোর জন্য মানুষের ধারে ধারে ঘুরছে সাহায্য পাওয়ার আসায়। তবে কোন জায়গা থেকেই তেমন কোন সাড়া পাচ্ছেনা প্রতিবন্ধী আলম। পিতাকে হারিয়ে যেন তার জীবনের সবই শেষ হয়ে গেছে। বোন জামাতা মারা যাবার পড়ে বোনের শ^শুরবাড়িতে কেউ না থাকায় বোন ও তার শিশু পুত্র আলমের কাছেই থাকছে। বর্তমানে তাদের সংসারের এমন অবস্থ্যা ভাগ্নের দুধ কিনতে গেলে সংসারের নুন কেনা হয় না আলমের। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে আর যাকে কাছে পাচ্ছে তাকেই বলছে তার দুঃখ-দূর্দশার কথা। সবাই শুনছে তার অসহায়েত্বের কথা। তবে শোনা পর্যন্তই শেষ। কেউ এগিয়ে আসছে না। ১০ তারিখ পৌর শহরের ১নং ওয়ার্ডে বসে দেখা হয় এই হতভাগ্য অসহায় প্রতিবন্ধী আলমের সাথে। মিডিয়াকর্মী শুনে সব খুলে বলার পরে তার দুঃখ-দূদর্শার কথা পত্রিকার পাতায় তুলে ধরার অনুরোধ জানান। যদি প্রধানমন্ত্রী তার অসহায়ত্বের কথা যেনে তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ান এই আশায়।
Leave a Reply